রাজনীগন্ধা গাছে ফুল না আসলে যা করবেন।
অনেক সময় দেখা যায় রাজনীগন্ধা গাছে ২-৩ টি ফুল আসার পর আর ফুল আসে না, এর কারন হলো –ফুল ফোটার পর ঔ কন্দটি মারা যায় এবং এর গোড়ায় আরও নতুন কন্দের জন্ম নেয়। এ নতুন কন্দ গুলো বড় হয়ে পরিনত কন্দ হতে কিছুটা সময় লাগে। তাই ফুল আসতে দেরি হয়।
অপরদিকে টবের মাটিতে পুষ্টি কম থাকে। তাই ১টি বাল্ব/কন্দ যে খাবার খেতো কয়েকটি কন্দ সে খাবের খাচ্ছে। তার ফলে বাল্ব/কান্দ গুলো পুষ্টির অভাবে ফুল দিতে পাচ্ছে না। এ থাকে বাঁচতে গাছ কে সঠিক মাত্রায় খাবার দিতে হবে।
খাবারের ব্যাবস্থাপনাঃ
এ অবস্থায় খাবের হিসেবে গাছের জন্য গ্রুত্বপূর্ণ হলো নইট্রোজেন সার। আমরা নইট্রোজেন পাই ইউরিয়া সার থাকে। ১০-১২ ইঞি টবের জন্য হাফ চা চামুচ ইউরিয়া সার ৭ দিন পরপর গাছের গোড়ার মাটির চারপাশ খুড়ে দিয়ে দিতে হবে । টব আরও বড় হলে ১ চা চামুচ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে যেন কোনো ভাবেই সার গছের গোড়ায় না লাগে। অর্থাৎ ইঞি খানেক দূরে দিতে হবে।
এটি যখন সমস্যা হবে তখন করতে হবে অন্যথায় গাছ মারা যেঁতে পারে। নইট্রোজেনের আধিক্যও গাছের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। ফুল চলে আসলে ফুল থাকা-কালীন “রাজনীগন্ধার গাছের রোপন ও পরিচর্যা” যে ভাবে করতে বলা হয়েছে সে ভাবে করতে হবে।
অনেক সময় দখা যায় যে, ফুল আসে কিন্তু ফুল ভালভাবে ফুটে না। এটিও নইট্রোজেনের অভাবে হয়। এ ক্ষেত্রে ১ লিটার পানিতে ৫-৬ দানা ইউরিয়া সার মিশিয়ে তা থাকে-
টবের সাইজ |
পরিমান |
১০ ইঞি টবে |
১ কাপ |
১২ ইঞি টবে |
দেড় কাপ |
৮ ইঞি টবে |
হাফ কাপ |
আরও বড় টবের ক্ষেত্রে |
২ কাপ |
পানি ভালোভাবে গাছের মাটিতে ঢেলে দিতে হবে ৭ দিন পরপর যত দিন সমস্যা থাকবে। এ ভাবে নিয়ম মানে পরিচর্যা করলে দ্রুত গাছ সবল হয়ে উঠবে এবং অনেক ফুল দিবে।